পার্বত্য জেলায় চালু হচ্ছে স্টারলিংক; বাড়ছে নতুন সংযোগের সুযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের তিন পার্বত্য জেলা—রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি পল্লীর বিদ্যালয়গুলোতে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট সুবিধাবঞ্চিত এসব এলাকায় আগামী ৯০ দিনের মধ্যে ১০০টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনুযায়ী ধাপে ধাপে সংযোগ দেওয়া হবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, রাঙামাটির বেশ কিছু এলাকায় ইতোমধ্যে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্টারলিংক প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো দুর্গম পাহাড়ি এলাকার শিক্ষার্থীদের ই-লার্নিং ও আধুনিক শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া। এতে শিক্ষার মানে সমতা আসবে এবং শিক্ষার্থীরা শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে।
রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীল সরকারি প্রাথমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৈকদ দাশ রুবেল বলেন, “বর্তমান যুগ তথ্য ও প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ না থাকায় আমরা পিছিয়ে আছি। পাহাড়ে স্টারলিংক চালু হলে শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সার্বিক জীবনে অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হবে।”
রাঙামাটি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল রণি ধর বলেন, “প্রযুক্তি সেবা না থাকায় শিক্ষাখাত থেকে শুরু করে অন্যান্য খাতেও আমরা পিছিয়ে আছি। সরকার দুর্গম এলাকার স্কুলগুলোতে স্টারলিংক সেবা চালু করছে, এটা আমাদের জন্য বড় অর্জন।”
রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক মন্তব্য করেন, “পাহাড়ের শিক্ষা সবসময় সমতলের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। সরকারের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। তবে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য আগে দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে, নইলে কার্যক্রম টেকসই হবে না।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা জানান, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষিত পরিকল্পনা অনুযায়ী স্টারলিংক ব্যবহারের মাধ্যমে ১০০টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল কার্যক্রম চালুর প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, “টেকসই উন্নয়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”






