ভাত না রুটি, কী খাওয়া উচিত?
ভাত এবং রুটি—কোনটি খাওয়া স্বাস্থ্যকর—এ নিয়ে অনেকের মধ্যে মতবিরোধ থাকে। অনেকেই মনে করেন, রাতের খাবারে দু’টোই খেলে ভারসাম্য বজায় থাকে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি শুধুই রুটি বা ভাতের উপর নির্ভর করে না।
ডায়েটিশিয়ান নাজনীন হুসেন বলেন, “যদি মোটা আটা বা বেশি ফাইবারযুক্ত রুটি খান, তা স্বাস্থ্যকর। কিন্তু মিহি ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি ভাতের মতোই শরীরে দ্রুত শর্করা বৃদ্ধি করে।”
তিনি বলেন, পালিশ করা চিকন চালের পরিবর্তে বাদামি চাল বা পালিশ ছাড়া ছোট দানার চাল খাওয়াই ভালো।
ডায়েটিশিয়ানরা পরামর্শ দেন, ভাত বা রুটি ডালের সঙ্গে খাওয়া উচিত। খিচুড়ি বা পোলাওও স্বাস্থ্যকর বিকল্প।
দিল্লির ডাক্তার এম. ওয়ালি বলেন, “আজকাল বেশি ময়দা ও চিকন আটা খাওয়ার ফলে এটি চিনি বা লবণের মতোই ক্ষতিকর হয়ে উঠছে।” তবে ভাতের সঙ্গে সবজি খেলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায়, ফলে শর্করা ধীরে ধীরে শরীরে মিশে যায়।
ভাত বা রুটির মৌলিক পার্থক্য হলো: যারা ভারী পরিশ্রম করেন বা বেশি শক্তির প্রয়োজন তাদের জন্য ভাত ভালো। আর যারা অতিরিক্ত খাওয়া এড়াতে চান, তাদের জন্য আঁশসমৃদ্ধ আটার রুটি দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে।
ডায়েটিশিয়ান মালা মনরাল বলেন, “রুটি যদি প্রোটিন বা সবজির সঙ্গে খাওয়া হয়, তা আরও স্বাস্থ্যকর। নিরামিষভোজী হলে রুটি সঙ্গে ডাল বা সবজি খেতে পারেন। প্রতিটি ব্যক্তির খাদ্য পরিকল্পনা তার কাজ ও জীবনধারার উপর নির্ভর করে।”
নাজনীন হুসেন আরও বলেন, “যে অঞ্চলে মানুষ বড় হয়েছে, সেই অঞ্চলের প্রধান খাবার শরীরে হজম করা সহজ হয়। তাই মানুষের খাদ্যাভ্যাসে স্থানীয় খাদ্য বিবেচনা করা উচিত।”
সংক্ষেপে, ভাত না রুটি—এটি ব্যক্তির শারীরিক কার্যক্রম, বয়স, স্বাস্থ্য এবং খাদ্যাভ্যাস অনুযায়ী নির্ধারণ করা উচিত। বিবিসি বাংলা






