রাবিপ্রবির ১০ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব ও সনদ বাতিল
কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, র্যাগিং ও শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ১০ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব ও সনদ বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান জানান, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ক্যাম্পাসে সংঘটিত ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যা রিজেন্ট বোর্ডের সর্বশেষ সভায় অনুমোদন পায়।
ভিসি বলেন, “যাদের শিক্ষাজীবন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে, তাদের সনদপত্র বাতিল করা হয়েছে। যারা এখনো অধ্যয়নরত, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি গত পড়শু তাদের ঠিকানায় চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছি।”
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন—বিশ্বজিৎ শীল, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, জাহাঙ্গীর আলম অপু, মহিউদ্দিন মুন্না, হাসু দেওয়ান, আকিব মাহমুদ, আবির, অন্তু কান্তি দে, জাকির হোসেন ও রিয়াদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন বলেন, “কিছু শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। শুধু কোটাবিরোধী আন্দোলনের ঘটনাই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত হয়। রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
এদিকে বহিষ্কৃত ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, “জুলাই-আগস্টে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি, যার জন্য আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। আমরা ভিসি ও ছাত্রদল-শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি।”
তিনি আরও জানান, কোটার দাবিতে একদিন ‘বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে’ একটি কর্মসূচি হয়েছিল, তবে সেদিনও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে যাত্রা শুরু করা রাবিপ্রবিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো কমিটি দেওয়া হয়নি। তবে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের ব্যানার ব্যবহার করতে দেখা যেত কিছু শিক্ষার্থীকে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে কয়েকজন ৫ আগস্টের আগেই স্নাতক সম্পন্ন করেন। তাদের কেউ কেউ পরে পরীক্ষা দিতে এসে গ্রেফতার হন এবং জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশত্যাগ করেন।