রেমাক্রী ইউনিয়নের ৯০টি গ্রাম স্বাস্থ্যসেবা থেকে এখনো বঞ্চিত
নিজস্ব প্রতিবেদক: বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নে এখনো স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছায়নি। প্রায় ৯০টি গ্রামে ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে। ইউনিয়নের বড় মদক ভিতরপাড়াসহ অধিকাংশ গ্রামে নেই কোনো কমিউনিটি ক্লিনিক বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
থানচি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে এই ইউনিয়নে যেতে নৌপথে সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টারও বেশি। বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্কবিহীন এই প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবন চলছে সোলার বাতির আলোয়। অসুস্থ হলে গ্রামবাসীকে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে উপজেলা শহরে যেতে হয়। ফলে অনেক রোগীকে নদীপথেই মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পুরো রেমাক্রী ইউনিয়নে একটি মাত্র কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে ছোট মদকে, তবে ডাক্তার সংকটের কারণে সেটিও চালু হয়নি। ফলে আশপাশের বাসিন্দারা বছরের পর বছর স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য বায়াতি ত্রিপুরা বলেন, “আশেপাশে কোনো ক্লিনিক নেই। এজন্য প্রায় সময় নদীপথে রোগী মারা যায়। প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্লিনিক স্থাপন করা জরুরি।”
বড় মদক ভিতরপাড়া বাসিন্দা অংশৈহ্লা মারমা বলেন, “আমাদের এখানে নেটওয়ার্ক নেই, বিদ্যুৎ নেই। চিকিৎসার জন্য থানচি শহরে যেতে হয়। তাই এখানে ক্লিনিক স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।”
রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা জানান, “আমার ইউনিয়নের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। সরকার যদি প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্লিনিক স্থাপন করে, তাহলে স্থানীয়রা উপকৃত হবেন।”
বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহীন হোসাইন চৌধুরী বলেন, “দুর্গম ও কম জনবসতি হলেও সেখানে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা আছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্লিনিক স্থাপনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
এদিকে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, “যেখানে ক্লিনিক প্রয়োজন, সিভিল সার্জন অফিস থেকে প্রস্তাব আসলে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। প্রয়োজনে সেখানে নতুন ক্লিনিক স্থাপন করা হবে।”





