রুমায় চাল পায়নি ১৫৯৬ দুঃস্থ নারী, জবাব নেই কারো
উবাসিং মার্মা, রুমা, (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের রুমা উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ভি.ডব্লিউ.বি. (Vulnerable Women Benefit) কর্মসূচির উপকারভোগী শত শত দুঃস্থ নারী এখনো মে ও জুন মাসের বরাদ্দকৃত চাল পাননি। কবে নাগাদ এই চাল বিতরণ হবে—তা নিয়েও নেই কোনো পরিষ্কার তথ্য। ফলে দরিদ্র পরিবারগুলো চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় রুমা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট ১৫৯৬ জন দুঃস্থ নারীকে তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রতিজন উপকারভোগীকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত মে ও জুন মাসের চাল দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, বরাদ্দকৃত চাল থেকেও উপকারভোগীদের মধ্যে চার মাসের চেয়ে বেশি সরবরাহ করা হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে ১০ কেজি করে কম দিয়ে চাল বিতরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
রুমা সদর ইউনিয়নের এক উপকারভোগী নারী মায়ইনু মারমা বলেন, “আমরা খুব কষ্টে আছি। চাল পাইলে অন্তত পরিবার নিয়ে একটু শান্তিতে খেতে পারতাম। কিন্তু ইউনিয়ন অফিসে গেলেও কেউ কিছু বলতে পারছে না।”
৮নং ওয়ার্ডের নুমে মারমা বলেন, “আমরা এখনো দুই মাসের চাল পাইনি, এমনকি আগের চালও ১০ কেজি করে কম দিয়েছে।”
রুমা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু বকর বলেন, “সাধারণ মানুষের চাউল খেয়ে কেউ উপকৃত হয়েছে—এমন কথা শুনিনি। আমি কোনো দুর্নীতির সঙ্গে আপস করব না। দরকার হলে মানুষের সাথে এক হয়ে মানববন্ধন করব।”
রুমা উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের ক্রেডিট অফিসার মো. খালেদ রাউজান খান জানান, “মে ও জুন মাসের চাল এবং পূর্বের বকেয়া ১০ কেজি করে চাল এখনো গুদামে মজুদ রয়েছে। এই মাসের মধ্যেই পুরাতন ও নতুন চাল একসাথে দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) অংসিংনু মারমা বলেন, “আমি বর্তমানে ঢাকায় ব্যক্তিগত কাজে এসেছি, ফিরে গিয়ে বিস্তারিত দেখব।”
বান্দরবান জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অ.দা) সুপন চাকমা বলেন, “যেসব ইউনিয়নে চাল বিতরণ হয়নি, সেখানে চেয়ারম্যানদের চিঠি দেওয়া হচ্ছে যাতে দ্রুত চাল বিতরণ নিশ্চিত করা যায়।”