বান্দরবান সদর

বান্দরবানে নিবন্ধিত শিশুদের মাঝে চারা বিতরণ

বান্দরবানের কুহালং ইউনিয়নে নিবন্ধিত শিশুদের মাঝে চারা বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে কুহালং ইউনিয়ন পরিষদ সভাকক্ষে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফা সুলতানা খান হীরা।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মারুফা সুলতানা খান হীরা বলেছেন, “প্রতি বছর সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা চারা বিতরণ করছে। এসব চারা বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে রোপণ করে বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে। পাহাড়ি জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ।”

আয়োজকরা জানান, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-চট্টগ্রাম এসিও’র সহযোগিতায় এবং গ্রাউস-বিএসএপি প্রোগ্রামের বাস্তবায়নে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

কুহালং , রাজবিলা এবং জামছড়ি ইউনিয়নে সর্বমোট-১ হাজার ৮৯৩ জন নিবন্ধিত শিশুদের মাঝে ৯ হাজার৪৬৫টি চারা এবং ৩ হাজার ৭৮৬ টি মেলামাইন প্লেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও (ইউপিজি) অতি দরিদ্র ৫৫৮ পরিবারের মাঝে ৬ হাজার ৬৯৬ টি চারা এবং (বিএসএল) দরিদ্র উৎপাদক দল ৩০০ পরিবারের মাঝে ১ হাজার ৮০০টি ঔষধি ও ফলজ চারা বিতরণ করা হয়।

বান্দরবান সদরের জামছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যাসিং শৈ এবং রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্য অংপ্রু মারমা বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। অপরিকল্পিত বন ধ্বংস, পাহাড় কাটা, বালু উত্তোলন বন্ধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”

এদিকে কুহালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মংপু মারমা বলেন, গাছ লাগানোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। গাছ পরিবেশ, অর্থনীতি এবং মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা বাতাসকে বিশুদ্ধ করে এবং জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সহায়তা করে।

অনুষ্ঠানে গ্রাউসের পিএফএ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার উসাইমং মারমা, প্রোগ্রাম ম্যানেজার তুলু মারমা,কুহালং কমিউনিটি অফিসার চিং থোয়াই উ মারমা সহ স্থানীয় শতাধিক নারী ও শিশু।

Related Articles

Back to top button