প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে রুমার ৪৪টি বিদ্যালয়
উবাসিং মারমা, রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি : বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ি উপজেলা রুমায় প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা মারাত্মক সংকটে পড়েছে। উপজেলায় ৬৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৪টিতেই দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে একসঙ্গে পাঠদান ও প্রশাসনিক কাজ সামলাতে গিয়ে শিক্ষার মান ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি উপজেলায় সহকারী শিক্ষকেরও ৪৪টি পদ শূন্য রয়েছে।
সরজমিনে দেখা গেছে, দপ্তরির অভাবে অনেক বিদ্যালয়ে শিক্ষকরা দপ্তরির কাজও করছেন। এমনকি স্কুলের ঘন্টা বাজানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বও তাদের কাঁধে পড়ছে। স্থানীয়রা জানান, অভিজ্ঞ শিক্ষকরা পদোন্নতি না পাওয়ায় অদক্ষ নতুনরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন, যা শিক্ষার মান কমিয়ে দিচ্ছে।
স্থানীয় অভিভাবকরা বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষা শিশুর জীবনের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এখানেই যদি ঘাটতি থাকে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
রুমা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ চিরান জানান, “উপজেলার ৬৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৪টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
এদিকে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, “শুধু রুমা নয়, জেলায় মোট ২৫৯টি প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য আছে। পদোন্নতির ফাইল মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে, তবে কিছু মামলা চলমান থাকায় পদায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।”
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, শিক্ষক সংকট দীর্ঘস্থায়ী হলে প্রাথমিক শিক্ষার মান আরও নিচে নেমে যাবে। তাই দ্রুত শূন্য পদ পূরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।