তথ্যপ্রযুক্তি

আপনার গ্যালারী নিরাপদ তো !

হ্যাকারদের কবল থেকে বাঁচতে অনেকটাই সতর্ক হয়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা। তাদের একটা বড় অংশই বিনামূল্যের পাবলিক ওয়াইফাইয়ের দিকে ফিরেও তাকান না। ধীরে ধীরে কমছে ক্লাউডে ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও রাখার পরিমাণ। এ ছাড়া ফোনে কোনো ম্যালঅয়্যার বা স্পাইঅয়্যার ঢুকেছে কি না, সে দিকেও সতর্ক থাকছেন ব্যবহারকারীরা।

কিন্তু এত সতর্কতা সত্ত্বেও ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও ভাইরাল হওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্পর্কের টানাপড়েন একটি বড় বিষয়। অনেক সময়ে আবার শুধু ব্ল্যাকমেল করার জন্য এ ধরনের ভাইরাল ভিডিওর আশ্রয় নিয়ে থাকে হ্যাকাররা।

এ ছাড়া হোটেলের ঘরে স্পাই ক্যামেরা বসিয়ে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও আছে। গ্যাজেট বিশ্লেষকদের দাবি, অনেক সময়ে ভুল করে বা অজ্ঞতার কারণে কোনো ভুয়া অ্যাপ্লিকেশনকে গ্যালারির অ্যাক্সেস দিয়ে ফেলেন স্মার্টফোনের গ্রাহক। সেখান থেকেও ভাইরাল হতে পারে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও।

এগুলোর পাশাপাশি বিশেষ একটি অভ্যাস বদলানোর কথা বলেছেন বিশ্লেষকরা। তাদের কথায়, অনেক সময় অন্যের ভাইরাল ভিডিও দেখার জন্য কোনো লিঙ্কে ক্লিক করে ফেলেন গ্রাহক। সঙ্গে সঙ্গে টেলিগ্রাম চ্যানেলে ঢোকার সুযোগ পান তিনি। এরপর সেখানকার লিঙ্কে ক্লিক করে ক্লাউড

স্টোরেজে প্রবেশ করেন ওই ব্যক্তি। এই প্রক্রিয়ায় এক বা একাধিক অ্যাপ্লিকেশনকে গ্যালারির অ্যাক্সেস দিতে হয় তাকে। সাধারণত দেখা যায় কোনো কিছু না পড়ে সেই অনুমতি দিয়ে ফেলেছেন গ্রাহক।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঠিক এখানেই ঘটছে বিপদ। ওই অ্যাপ্লিকেশনগুলোর মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল ফোনের গ্যালারিতে অনায়াসে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছেন সাইবার অপরাধীরা। ফলে তাদের পক্ষে ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও ফাঁস করা অনেক সহজ হচ্ছে। সেই কারণে যেকোনো অ্যাপ্লিকেশনকে গ্যালারির অনুমতি দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গ্যাজেট বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি অন্যের ব্যক্তিগত পরিসরে উঁকিঝুঁকি মারা থেকে সরে আসতেও বলেছেন তারা।

Related Articles

Back to top button