উবাসিং মারমা, রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি: বান্দরবানের রুমা উপজাতীয় আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় হঠাৎ আগাম ছুটি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো হলেও, একদিন পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আবারও শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ও শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
গত শুক্রবার বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লাভলু ত্রিপুরা দুর্গাপূজার ছুটি পাঁচ দিন এগিয়ে দিয়ে প্রায় ২৮৬ জন আবাসিক শিক্ষার্থীকে বাড়ি পাঠান। যদিও নির্ধারিত ছুটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ২৫ সেপ্টেম্বর। এ ঘটনা এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি করে। পরে আলোচনার মাধ্যমে শনিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা হোস্টেলে ফিরতে শুরু করে।
প্রধান শিক্ষক লাভলু ত্রিপুরা জানান, গত তিন মাস ধরে ছাত্রাবাসের খাদ্য বাবদ কোনো বিল পরিশোধ করা হয়নি। ফলে ধার করে শিক্ষার্থীদের খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছিল। কিন্তু দোকানদারের কাছে বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া হওয়ায় আর নতুন করে খাবার সরবরাহ সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে আগাম ছুটি দেওয়া হয়েছিল।
স্থানীয় দোকানদার শৈক্যচিং মারমা বলেন, “অনেকদিন ধরে টাকা বকেয়া রয়েছে। পুরোনো বিল পরিশোধ না হলে আর খাবার দেওয়া সম্ভব নয়। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই সাময়িক ছুটি দেওয়া হয়েছিল।”
অভিভাবকদের একজন জানান, ছুটি বাতিল হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে, যা সবার জন্যই স্বস্তির খবর।
শিক্ষার্থীরাও জানান, হঠাৎ ছুটি ঘোষণায় তাদের পড়াশোনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বলেন, পরীক্ষা সামনে, এ সময় ছুটি হলে আমরা পিছিয়ে যেতাম। ক্লাসে ফিরতে পেরে আমরা খুশি।
অন্যদিকে শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেন, শুধু খাদ্য সংকটই নয়, গত তিন মাস ধরে শিক্ষক ও কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না, ফলে পরিবার নিয়ে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।
বর্তমানে পরিস্থিতি আংশিক স্বাভাবিক হলেও শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দ্রুত এ সংকট নিরসনে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।






