নেপালে জেন জি বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ১৪, আহত ৫০
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর বানেশ্বরে জেনারেশন জেডের (জেন জি) বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত হতাহতের এ তথ্য জানিয়েছে কাঠমান্ডু পোস্ট।
সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. দীপেন্দ্র পাণ্ডে। তিনি জানান, মাথা ও বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আরও ১০ জন সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছেন এবং ২০ জনেরও বেশি চিকিৎসাধীন আছেন।
এছাড়া বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতালের কর্মকর্তা অনিল অধিকারী জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আরও ৫০ জনের বেশি চিকিৎসাধীন আছেন, এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সিভিল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক মোহন চন্দ্র রেগমী জানিয়েছেন, সেখানে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে কেএমসি ও ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতাল, মহারাজগঞ্জে একজন করে আহত ব্যক্তি মারা গেছেন। নিহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
গত শুক্রবার নেপালে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্সসহ ২৬টি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারী ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। ইনস্টাগ্রামের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের লাখো ব্যবহারকারী নেপালে রয়েছেন, যারা বিনোদন, সংবাদ ও ব্যবসার জন্য এসব প্ল্যাটফর্মের ওপর নির্ভরশীল।
এর মধ্যে সোমবার জাতীয় পতাকা হাতে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা জাতীয় সংগীত গেয়ে আন্দোলন শুরু করে। এরপরই তারা সোশ্যাল মিডিয়ার নিষেধাজ্ঞা ও দুর্নীতিবিরোধী স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন এলাকা। এরইমধ্যে নেপালের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সোমবার হাজারও বিক্ষোভকারী পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। এ সময় তরুণদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
এদিকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় প্রশাসন কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করেছে। পাশাপাশি দেশের অন্য বড় শহরগুলোতেও বিক্ষোভকারীরা সমাবেশ করছেন।